লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বড়সড় আপডেট উঠে এল। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের গ্ৰাহকদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা হওয়ার পর থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন বাংলার অগনিত মহিলা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া নতুন উদ্যোগের ফলে এখন থেকে আরও বেশি পরিমাণে উপকৃত হবেন বাংলার মহিলারা। কি সেই নতুন উদ্যোগ? জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। নীচে এই বিষয়ে সবিস্তারে বর্ণনা করা হলো।
রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। এইসব প্রকল্প গুলির মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার সাধারন শ্রেণীর মহিলাদের ১,০০০ টাকা করে এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে প্রতি মাসে মাসে অনুদান দেওয়া হয়। আমাদের রাজ্যের ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডার দেওয়া হয়। এরপর ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে সেই সকল মহিলাদের বার্ধক্য ভাতার আওতায় প্রতি মাসে মাসে ভাতা দেওয়া হয়।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে আপনা হতেই তাদের নাম বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত হয়ে যায়। এর জন্য তাদেরকে আলাদা করে কোনো রকম কোনো আবেদন করতে হয় না। বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় মাসিক ১,০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। এখন থেকে বাংলার বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলাদের জন্য একটি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছে যে, বাংলার যে সকল মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের ক্ষেত্রে এবার থেকে আয়ের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়া হবে। এর ফলে উপকৃত হবেন বাংলার অগনিত মহিলা। এতদিন পর্যন্ত বাংলার যে সকল মহিলাদের মাসিক আয় ১,০০০ টাকার মধ্যে ছিল তাদেরকে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় মাসিক ভাতা দেওয়া হতো। তবে এবার থেকে সেই নিয়মে আসতে চলেছে বড়সড় বদল।
বাংলার যে সকল মহিলারা বর্তমানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন তাদের বয়স যখন ৬০ বছরের উর্ধ্বে হয়ে যাবে তখন তাদের নাম বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সেই সকল মহিলাদের ক্ষেত্রে আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ১,০০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীসভার তরফে অনুমোদন মিললেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হবে।
আরও পড়ুন: CLICK HERE