রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর দিল অর্থদপ্তর। West Bengal Government Job Employee Big Update

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশাল বড় আপডেট ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এতদিন অবধি আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার অধীনস্থ কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্পর্কিত পোর্টালের যাবতীয় তথ্যাদি দিল্লির ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে জমা করে রাখা হতো। তবে এবার থেকে সেই নিয়মে আসতে চলেছে বড়সড় বদল। এই বিষয়টি জানিয়ে সম্প্রতি এক অফিসিয়াল নোটিফিকেশন জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ অর্থদপ্তর। কিন্তু কি সেই নতুন নিয়ম? জানতে চাইলে প্রতিবেদনের শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। নীচে এই বিষয়ে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে।

এতদিন অবধি আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার অধীনস্থ কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্পর্কিত পোর্টালের যাবতীয় তথ্যাদি দিল্লির ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে জমা করে রাখা হতো। তবে এবার থেকে এই নিয়ম আর চলবে না। এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজ ডেটা সেন্টারেই রাজ্য সরকার অধীনস্থ কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি জমা করে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজ উদ্যোগে চালু করা প্রকল্প গুলি যেমন লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, বাংলা আবাস যোজনা ইত্যাদি আর্থিক সাহায্য মূলক প্রকল্প গুলি চলে রাজ্য সরকারের নিজের খরচেই। শুধু তাই নয় সেইসঙ্গে রাজ্য সরকার অধীনস্থ কর্মীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প গুলির যাবতীয় খরচ খরচাও রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকেই দেয়। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ অর্থদপ্তরের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে রাজ্য সরকার তার নিজের টাকাতে যে সকল প্রকল্প গুলির খরচ চালাবে তার যাবতীয় তথ্যাদি রাজ্য সরকার তার অধীনস্থ “ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডেটা সেন্টারে” জমা করে রাখবে।

এছাড়াও সম্প্রতি এও জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য স্থানান্তরিত করা হলেও পূর্বের যাবতীয় তথ্যাদির ব্যাক আপ রাখতে হবে দিল্লির ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে। অর্থদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী এই তথ্য স্থানান্তরের কাজটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ ই ফেব্রুয়ারি। সেই কারনেই ওইদিন বেলা ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অর্থাৎ দুই ঘণ্টা কোনো রাজ্য সরকার অধীনস্থ কর্মীরা স্বাস্থ্য প্রকল্পের এই অনলাইন পোর্টালটি ব্যাবহার করতে পারবেন না। তবে অর্থদপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যে কোনো রাজ্য সরকারি কর্মী নিজের এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।

তবে এই তথ্য স্থানান্তরের কাজটি চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য প্রকল্পের উপভোক্তারা যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া থেকে বিরত না থাকেন সেই জন্যেও বিশেষ ব্যাবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ অর্থদপ্তর। তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করা হয়েছে। অর্থদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে ওই সময়ে স্বাস্থ্য প্রকল্পের উপভোক্তারা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি স্বাস্থ্য প্রকল্পের পোর্টালে গিয়ে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট দেখতে পারবেন। এছাড়াও ওই দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কোনো পেসেন্ট কে যদি হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ও কোনো রকম কোনো সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য অর্থদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *